নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির সভাতে মঞ্চ থেকে বক্তৃতা রাখার সময় হঠাৎই সংজ্ঞা হারালেন বিজেপি নেতা তথা গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। আচমকা এমন ঘটনায় সকলে হতভম্ভ হয়ে গেলেও শীঘ্রই উপস্থিত BJP নেতা এবং নিরাপত্তারক্ষীরা অবস্থার সামাল দেন। সাথে সাথে আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ২৪ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানান চিকিৎসকরা। করা হয় করোনা টেস্ট। এরই মধ্যে বিজয় রুপানির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। জানা যায়, তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত ২৪ ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিজয় রূপানির শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসক আর কে প্যাটেল জানান, “মারাত্মক ক্লান্তি ও ডিহাইড্রেশনের কারণে রবিবার মঞ্চে জ্ঞান হারিয়েছিলেন বিজয় রূপানি। তাঁর সমস্ত রকমশারীরিক পরীক্ষা ও চেক-আপ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর সিটি স্ক্যান ও ECG রিপোর্ট সন্তোষজনক।” বিজয় রূপানির সংস্পর্শে আসা সকলকে সাবধান হওয়ার কথা বলেছে। ও সকল মানুষদেরও করোনা টেস্ট করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভদোদরার নিজামপুরা এলাকার মেহসানানগরে বিজেপির জনসভা ছিল। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে পৌরভোট। এর আগে বিজেপির জনসভা ছিল তারসালি ও কারেলিবাগে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজয় রুপানি। জানান যায়, মেহসানানগরে এই সভা ছিল তাঁর তৃতীয় কর্মসূচি। মঞ্চে ওঠার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন বিজয় রুপানি। একদিনে টানা তিনটি সভা, আর তাই একাধিক সভার কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।
রবিবার তারসালি এবং কারেলিবাগের পর নিজামপুরার মঞ্চে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই তিনি অবশ্য সংজ্ঞা ফিরে পান। তবে সংজ্ঞা ফিরে পেলেও তিনি আর বক্তৃতা শেষ করেননি। জ্ঞান ফেরার পরও তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন।এমনটা তাঁর চোখ-মুখ দেখে স্পষ্ট মনে হয়েছে। এরপর মঞ্চের সিঁড়ি দিয়ে তাঁকে নামিয়ে সভাস্থান থেকে চলে যান তিনি। তাঁকে গান্ধীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়।