নিজস্ব প্রতিবেদন: লহরি, মকর সংক্রান্তি, পোঙ্গাল, মাঘ বিহু উৎসবের পর ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কোভিশিল্ড-এর টিকাকরণ।এই ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পাওয়া যাবে ২০০ টাকায়। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট এমনটাই জানিয়েছে যে ২০০ টাকায় প্রতি ডোজ মিলতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট ভারতে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন বানাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার এক কোটি এক লক্ষ ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি জরুরি ভিত্তিতে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) কোভিশিল্ড ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা করোনাভাইরাস টিকা তৈরি করেছে। ভারতে তৈরী সেই টিকা সোমবার সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১.১ কোটি ডোজ কিনতে চলেছে কেন্দ্র।
সোমবার সন্ধ্যা থেকেই টিকা বণ্টনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। ২০০ টাকায় টিকার একটি ডোজ কেনার চুক্তি হয়েছে। আগামিকাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে কোভিশিল্ডের টিকা বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
টিকাকরণ নিয়ে আগেই পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। টিকার প্রথম ডোজ স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে। তারপর দেওয়া হবে যাদের বয়স ৫০-এর বেশি। সবশেষে যাদের কো-মর্বিডিটি আছে অর্থাৎ ৫০ বছরের কম বয়সি প্রাধান্য পাবে। প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য বিনমূল্যে টিকাকরণ করা হবে।
তবে ৫০ উর্ধ্ব এবং কো-মর্বিডিটি যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে টিকাকরণ করা হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ৫০ উর্ধ্ব এবং কো-মর্বিডিটিদের সংখ্যাটা প্রায় ২৭ কোটি বলে জানা গিয়েছে।যদিও প্রাথমিকভাবে গত নভেম্বরে সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানান, ডোজপিছু ২৫০ টাকায় (৩.৪ ডলার) কেন্দ্রীয় সরকারকে টিকা বিক্রি করা হবে। খোলা বাজারে সেই দাম পড়বে ১,০০০ টাকা।
ভ্যাকসিন কিভাবে দেওয়া হবে, তা বুঝতে দিনকয়েক আগেই শেষ হয়েছে ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। গতকাল তৃতীয় পর্যায়ের ড্রাই রান দেশের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৬১৫ জেলা এবং ৪ হাজার ৮৯৫টি কেন্দ্রে হয়েছে। সোমবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদী স্পষ্ট জানান, প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, পুলিশকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রথম দফায় কেন্দ্র এই ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজের খরচ বহন করবে। এক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে খরচ বহন করতে হবে। করোনা রুখতে যে ২টি ভ্যাকসিনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, দু’টিই মেড ইন ইন্ডিয়া।
এরপর আরও ভ্যাকসিন এলে ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পনা করা যাবে। পাশাপাশি দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। ভারতীয় এই ২টি ভ্যাকসিন বিশ্বের অন্য টিকার চেয়ে সস্তা বলে জানান মোদী।