ডেস্ক রিপোর্ট : আরও এক দেবালয় গর্ভগৃহে লুকিয়ে ছিল, ৪৫০০ বছরের পুরনো সূর্য মন্দিরের খোঁজ মিলল মিশরে। ‘চাইলেই ঈশ্বর হওয়া যায়’ এমন ভাবতেন মিশরের রাজারা। পুনর্জন্মে বিশ্বাসী ফারাওরা একদিকে বেঁচে ফেরার কথা ভেবে যেমন পিরামিড বানাতেন। তেমনই সূর্যমন্দিরও বানাতেন। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, সূর্যমন্দির বানালেই ঈশ্বর হওয়া যাবে।
সকলেই পুণ্যের ভাগ পেতে চাইতেন। তাই এক প্রজন্মের তৈরি করা মন্দির আড়েবহরে বাড়িয়ে তুলতেন পরের ফারাওরা। বছরের পর বছর তৈরি হত সূর্যদেবের মন্দির।
মিশরের ইতিহাস বলছে, এমন অন্তত ছ’টি সূর্যদেবের মন্দির ছিল মিশরে। তবে তার মধ্যে চারটির খোঁজ আজ অবধি পাওয়া যায়নি। ১২৩ বছর আগে প্রথমটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয়টির খোঁজ মিলেছে দিন কয়েক আগে।
আবু গুরাবের সূর্য মন্দির কায়রো থেকে ১২ মাইল দক্ষিণে গেলে। সদ্য আবিষ্কৃত মন্দিরটি চাপা পড়েছিল আবু গুরাবের ন্যুসের সূর্যমন্দিরের নীচে। কিছুদিন আগে সেখানে খননকাজ চালাচ্ছিল পোলিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ফর মেডিটেরানিয়ান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল কালচার। মিশরতত্ত্বের অধ্যাপক মাসিমিলানো নুজলো নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ওই অভিযানের। নুজলো জানিয়েছেন, ‘আপাতত পুরনো সূর্যমন্দিরটির সামান্য অংশই প্রকাশ্যে এসেছে’।