প্রদীপ কুমার সাঁতরা : চতুর্থ দিনে ১ উইকেটে ১৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ভারত। মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৭ রান), চেতেশ্বর পুজারা (২২ রান), অজিঙ্কা রাহানে (৪ রান) তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান। অভিষেক টেস্টে শ্রেয়াস আইয়ার প্রথম ইনিংসে শতরান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও শ্রেয়াস তার দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্ম বজায় রাখেন। শ্রেয়াস দ্বিতীয় ইনিংসে মূল্যবান ৬৫ রান করেন। রবীচন্দ্রন অশ্বিন করেন ৩২ রান। উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা ও আকসার প্যাটেল ভালো ব্যাট করে একটি লড়াকু স্কোর সংগ্রহ করে ভারতের স্কোর বোর্ডে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৭ উইকেটে ২৩৪ রান করে ইনিংসের ডিক্লারেশন ঘোষণা করে। ঋদ্ধিমান সাহা ৬১ রান ও আকসার প্যাটেল ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারত নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য মোট ২৮৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে। দ্বিতীয় ইনিংসে টিম সাউদি ৩ টি, কাইল জেমিসন ৩ টি ও আজাজ প্যাটেল ১ টি উইকেট নেন।
চতুর্থ দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন। এদিন মাত্র ৪ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড ৪ রান করে। তারপর আজকের মতো আম্পায়াররা প্লে অফ করে দেন। উইল ইয়াংকে ২ রানে সাজঘরে ফেরান রবীচন্দ্রন অশ্বিন। নিউজিল্যান্ডের হাতে রয়েছে ৯ টি উইকেট। পঞ্চম তথা শেষ দিনের খেলা অবশিষ্ট রয়েছে। নিউজিল্যান্ডকে প্রথম টেস্ট জিততে হলে দরকার ২৮০ রান। আর ভারতকে এই টেস্ট জয়ের জন্য প্রয়োজন ৯ টি উইকেট। ভারতের এই টেস্ট জয় এর জন্য প্রয়োজন স্পিনারদের ভালো বোলিং। একমাত্র স্পিন দিয়েই ভারত জয় আনতে পারে আর এই কাজ বহুবার করেছে ভারতীয় স্পিনাররা। আকসার প্যাটেল, রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজার মতো বিশ্ব স্তরের স্পিনার আছে ভারতীয় দলে। ফলে প্রথম টেস্টে জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে ভারতীয় সমর্থকরা।
ম্যাচের স্কোর কার্ড –
—————————
ভারত (প্রথম ইনিংস) – ৩৪৫/১০ (১১১.১ ওভার)
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস) – ২৯৬/১০ (১৪২.৩ ওভার)
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস) – ২৩৪/৭ (ডিক্লেয়ার) – (৮১ ওভার)
নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস) – ৪/১* (৪ ওভার)
নিউজিল্যান্ডকে জয়ের জন্য ২৮০ রান করতে হবে।