নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা, প্রাণ হারালেন ১৪ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৬ টি শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে প্রতাপগড়-লখনউ হাইওয়েতে। গত রাতে মানিকপুর থানা এলাকায় হাইওয়ের ওপর এসইউভির সঙ্গে ট্রাকের সজোরে ধাক্কা লাগে। বোলেরো জিপটিতে একটি পরিবার বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। সেসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপটি একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। জানা গিয়েছে, জিপের গতি অনেকটাই বেশি ছিল। জিপের মধ্যে বসে থাকা ৬টি শিশু-সহ মোট ১৪ জন প্রাণ হারান। জানা গিয়েছে, একই পরিবারে সকলে ছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ও গ্যাসকাটার দিয়ে জিপ কেটে দেহগুলি উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, বিয়েবাড়িটি ছিল নবাবগঞ্জের শেখপুর এলাকায়। বিয়েবাড়ি থেকে গভীর রাতে ওই ১৪ জন কুন্ডা থানার গ্রামে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিছন থেকে এসে তাঁদের গাড়ি ধাক্কা মারে। নিহতরা সকলেই এক পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের আত্মীয় বলে জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। লখনউ-প্রয়াগরাজ হাইওয়েতে মানিকপুরের কাছাকাছি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে।বৃহস্পতিবার রাত ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার প্রতাপগড়–লখনউ সড়কের উপর মানিকপুর থানা এলাকার দেশরাজ ইনারা গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
জেলা এসপি অনুরাগ আর্য জানান, গাড়িটির সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, ট্রাকের একটি চাকা পাংচার হয়েগিয়েছে, সেকারণেই এই দুর্ঘটনা। তবে তাঁর ধারণা, রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি দেখতে পাননি চালক। দেখতে না পেয়ে পিছনে এসে সজোরে ধাক্কা মারেন এসইউভি চালক।দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির ভিতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে কুন্ডার সমবায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দীনেশ কুমার (বয়স ৪০), পবন কুমার (বয়স ১০), দয়ারাম (বয়স ৪০), আমন (বয়স ৭), রামসমঝ (বয়স ৪০), গৌরব কুমার (বয়স ১০), নান ভাইয়া (বয়স ৫৫), শচীন (বয়স ১২), হিমাংশু (বয়স ১২), মিথিলেশ কুমার (বয়স ১৭), অভিমন্যু (বয়স ২৮), পারশনাথ (বয়স ৪০) এবং এসইউভি চালক বোলেরো বাবলু (বয়স ২২)। এদের মধ্যে ১২ জন জিগরাপুর গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, চালক-সহ বাকি দুই আরোহী অন্য গ্রামের অধিবাসী। এই দুর্ঘটনার কথা শুনে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শোকপ্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, প্রথমে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গাড়ি থেকে পাঁচটি দেহ তৎক্ষণাৎ টেনে বের করে। বাকি দেহগুলি ট্রাক থেকে গাড়িটি আলাদা করার পর টেনে বের করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেনা ও সাথে হতাহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সাহায্য এবং দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন। গ্রাম প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতদের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গাড়ি এবং ট্রাকমালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।