ঢাকা : মার্চ মাসে নরেন্দ্র মোদীর সফরকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ঢাকা ৷ সাম্প্রদায়িক হিংসা ও অশান্তি ছড়িয়েছিল জেলায় জেলায় ৷ পাকপন্থী হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে বেশ শিরোনামে উঠে এসেছিল ৷ তাদের কারনে কয়েক দফায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বেশ পুলিশ কর্মী হতাহত হয়েছিলেন ৷ হাসিনা সরকার বরাবরই এই হেফাজতের কর্মকান্ডে বিরোধী দলকেই দোষারোপ করে আসছিলেন ৷ হেফাজতের সেই মামুনুল হক রিসোর্টে নারী নিয়ে অবরুদ্ধ হবার পর থেকেই একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে ঘটনা ৷ তারপরই পুরানো মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ একে একে বেশ কয়েকজন হেফাজত নেতাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এ নিয়ে এদিন তত্যমন্ত্রী ড· হাসান মাহমুদ বললেন ‘গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছে। তারা ইতোমধ্যেই স্বীকার করেছে, কোথায় কখন কার বাসায় বৈঠক হয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে।’
আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে থেকে অনলাইনে তিনি রাঙ্গুনিয়ায় নিজের পক্ষ থেকে দুই হাজার স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করেন ৷ এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি এসব ব্যাপারে কথা বলেছেন ৷
ভারতীয় এবং বাংলাদেশের মিডিয়ার কথা তুলে তিনি বলেছেন , ‘আপনারা দেখেছেন ভারতের ইকনোমিক টাইমস ও বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসেছে, ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের ব্যানারে যে তান্ডব চালানো হয়েছে, সেখানে বিএনপি-জামাত সক্রিয় অংশ নিয়েছে, অর্থ যোগান দিয়েছে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা সাহায্য করেছে।’
তিনি আরো বলেন, তারা ২৬ থেকে ২৮ মার্চ যেভাবে সারাদেশে তান্ডব চালিয়ে নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি-সহায়-সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পোড়ানো, ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে, ঐতিহ্য-পুরাকীর্তি ধ্বংস করা এমনকি ভিন্নধর্মের উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, এটি নিছক বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়।’
তার দাবি , জামাত ও বিএনপি একটি বড় পরিকল্পনা করে হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল ৷ তাঁতে বিএনপি ও জামাতের পাশাপাশি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও অর্থায়ন করা হয়েছে ৷