আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত কদিন ধরেই হামাস-ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বেজেই চলেছিলো ৷ আল-আকসা মসজিদে ইজরায়েলি সেনা গুলিবর্ষণ করেছিলো ৷ তাতে হুমকি দেয় ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন হামাস ৷ তারা কয়েকদফা রকেট হামলাও চালায় ইজরায়েলে ৷ এর পাল্টা জবাব দেয় ইজরায়েল ৷ সংঘর্ষ ক্রমেই চরম আকার ধারন করতে থাকে ৷ এই যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছিলো ৷ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও গাজার জঙ্গী সংগঠনগুলিকে চিরতরে ধ্বংস করে দেবার কড়া হুশিয়ারী দিয়েছিলেন ৷ তবে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতিরই সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ ৷
তবে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই দন্ধের আগুনে ঘি ঢেলেছে চীন ৷ চীনা রাষ্ট্রীয় টিভির আলোচনা অনুষ্ঠানে ইহুদি বিরোধী মন্তব্যের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে ইজরায়েল দূতাবাস ৷ ইজরায়েলের দূতাবাসের দাবি এই অনুষ্ঠানে তীব্র ইহুদি বিরোধী মন্তব্য করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে ইজরায়েলের দূতাবাস টুইট করেছে৷ সেই টুইটে তারা লিখেছেন “আমরা ভেবেছিলাম বিশ্ব ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণের যে ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল এক সময় তা হয়তো শেষ হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ইহুদি বিরোধীদের মুখ আবার প্রকাশ্যে এলো। চীনের একটি অফিসিয়াল মিডিয়ায় এ ধরনের ইহুদি-বিদ্বেষ দেখে আমরা স্তম্ভিত।” তবে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ওই টিভি চ্যানেল কোনো মন্তব্য করেনি ৷
প্রসঙ্গত, প্রায় এগারো দিন আগে আল-আকসা মসজিদে ইজরায়েলি সেনার গুলিবর্ষণ নিয়ে যুদ্ধ বাঁধে ৷ তাতে সদ্য যুদ্ধবিরতি নিয়েছে দুই রাষ্ট্র ৷ এরই মাঝে চীনের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের ৷ যদিও চীন প্রথম থেকেই যুদ্ধবিরতিই চেয়েছিলো তবে আমেরিকা তাতে সায় দেয়নি বলেই প্রথমে সেটি আটকে যায় ৷ এই হামলায় ইতিমধ্যেই শিশু ও নারী সহ কয়েক শ’ মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজা এবং ইজরায়েলের দ্বন্দ্ব নিয়ে বিশ্বে দ্বিধা বিভক্তি তৈরী হয়েছে ৷