গোপাল বিশ্বাস , নদিয়া: একদিকে টানা বর্ষন অন্যদিকে গঙ্গার বাঁধ ভেঙে গিয়ে নবদ্বীপে বিঘের পর বিঘে জমির পাটক্ষেত জলে তলিয়ে গিয়েছে ৷ তাতে কার্যত মাথায় হাত চাষীদের। নদিয়া জেলার অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে কৃষির উপর ৷
মন্দির নগরী নবদ্বীপ প্রাচীন মায়াপুর অরবিন্দ পল্লীর বেশিরভাগ অংশ জুড়েই পাটের চাষ ৷
এবছরও নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুর এলাকায় বিঘের পর বিঘে জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিল।কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে টানা অত্যধিক বৃষ্টির ফলে সেই এলাকায় পাটের জমিতে গঙ্গার জল ঢুকে গেছে।তাতে ডুবে গিয়েছে গোটা এলাকা ৷ পাটক্ষেত এখন তলিয়ে গিয়েছে জলের তলায় ৷ পুকুর, নালা, নদী সব জায়গায় জল আর জল, চাষের জমিতে প্রায় এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে আছে। ফলে পাট গাছ খুব বড় হতে পারেনি ও পাট গাছের গোঁড়া আলগা হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চাষীদের পাট গাছ কেটে ফেলতে হচ্ছে ৷ পাটের দামও সঠিক পাওয়া যাবে না, ফলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন পাট চাষীরা।
চাষীরা জানান, নবদ্বীপের পাটের চাহিদা ও সুনাম অনেক টাই বেশি। তারা এও বলেন সাধারণত শ্রাবন মাস নাগাদ পাট কাটার উপযুক্ত সময়। জানা গেছে, এবছর বেশি টাকা সুদে ঋণ নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন চাষীরা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চাষীদের পাট চাষের খরচ তোলাটাই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই করোনা মহামারির কারনে টানা লকডাউনে মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্থ তার উপর পাট চাষে বিপুল ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের কাছে বারবার সাহায্যের আর্জি জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় হতাশ পাট চাষীরা। অন্যদিকে গঙ্গার তীরবর্তী বসবাসকারীদের দুশ্চিন্তা দাঁড়িয়েছে কখন তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়।