নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার এবং আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নানা বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন ৷ আফগানে তালিবানদের দখলের পর গত ২৪ ঘন্টায় দুদফা বৈঠকে বসে সিসিএস ৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম সিসিএস সভায় সভাপতিত্ব করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দ্রুত সেখান তেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকা আফগান ভাই-বোনদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার কথাও বলা হয় ৷
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্কর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । যদিও বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি ৷
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত সরকারের তৈরি কৌশল পর্যালোচনা করেছেন। তিনি ইতোমধ্যেই কর্মকর্তাদের হিন্দু ও শিখদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কর্মকর্তাদের কাবুলে তাদের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছেন। এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগিয়েছে যে সরকার এই হিন্দু ও শিখদের ভারতে আসার পরে তাদের এক ধরণের শরণার্থী মর্যাদা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে এবং পরে তাদের নতুন তৈরি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে তিনি বলেন, সরকার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে নতুন জরুরী ভিসা বিভাগের অধীনে সেই হিন্দু ও শিখদের ভিসা আবেদন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত দেয়া হবে ৷ সরকারের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ভারতীয় সম্পদ এবং আফগানিস্তানে ভারতীয় কোম্পানি এবং পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ দ্বারা পরিচালিত বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বিষয়েও আলোচনা করেছে।
তালেবান আফগানিস্তানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এবং অবনতিশীল অবস্থার মধ্যেও ভারত সরকার পররাষ্ট্রনীতির দিক থেকে দেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে, অনেক আফগান নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই ভারতে আসতে চায়। বুধবার মন্ত্রিসভার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পি.কে মিশ্র, পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা উপস্থিত ছিলেন।