ডেস্ক রিপোর্ট : বীরভূমের ডাকাবুকো নেতা তথা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বারবার সিবিআই তলব সত্বেও তা এড়িয়ে গিয়েছেন। শেষমেশ ১৫ মার্চ নিজামে তলব অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। সিবিআইইয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনও খারিজ করেছিল আদালত। যেহেতু তাঁকে হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে, তাই গৃহবন্দী থাকার মতো শারীরিক অবস্থা তাঁর নয় বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল আদালত।
অনুব্রত সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ মার্চ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন।
তবে এবার, কলকাতা হাইকোর্ট গরুপাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ‘রক্ষাকবচ’ দেয়নি। তা নিয়ে মন্তব্যে নারাজ অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মঙ্গলবার লোকসভা উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে আসানসোলে গিয়েছিলেন । সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। আসানসোলে মঙ্গলবার একটি কর্মিসভা করেন অনুব্রত। ঘটনাচক্রে একই দিনে তাঁকে ‘রক্ষাকবচ’ দেয়নি উচ্চ আদালত।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান অনুব্রত। প্রশ্ন করতেই অনুব্রত বলেন, ‘ওটা বাদ দিয়ে অন্য কোনও কথা আছে কী?’। রামপুরহাটের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই ঘটনাতেও বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম বারবার আনছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা খেলেন অনুব্রত।
তবে, গরুপাচার মামলায় এ বার বড় বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল। ওই ঘটনাতেও তদন্ত করছে সিবিআই। আর সিবিআই জেরার থেকে বাঁচতে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। শেষমেশ তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।