দক্ষিণী শহরে মন মজিয়েছে শিলিগুড়ির “পাহাড়িয়া বাঁশি”
ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়িঃ চলতি বছরে দক্ষিণ ভারত তথা ব্যাঙ্গালোরের নয়ন রঙ্গমন্দিরে “ফিল্মাহোলিক ফাউন্ডেশনের” উদ্যোগে আয়োজিত কর্ণাটক ইয়ুথ ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২০-এ সেরা মিউজিক্যাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডের খেতাব জিতে নিয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার শহর শিলিগুড়ির ‘উই ফিল ক্রিয়েশন’ সংগঠনের দ্বারা নির্মিত বাংলা মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম “পাহাড়িয়া বাঁশি” (দ্য মাউন্টেন ফ্লুট)।
ছবিটির দৈর্ঘ্য ৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড। দেশ-বিদেশ তথা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, ফিলিপাইনস, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষ অংশগ্রহণ করে এই ফেস্টিভ্যালে। ভারতবর্ষ থেকে মূলত এই সংগঠনটি কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরাখণ্ডের থেকে কিছু ছবি নির্বাচন করে। বিশ্বের ৪০০টি ছবির মধ্যে সেরা ২২-এ স্থান করে নিয়েছিল বাংলার এই “পাহাড়িয়া বাঁশি”।
পাহাড়িয়া বাঁশি মুলতঃ দার্জিলিং জেলায় বসবাসরত গোর্খাবাসী ও সমতলের বাঙালির প্রাচীন ভাতৃত্ববোধের এক চিত্র বা সমতল ও পাহাড়ের যে সংমিশ্রণ তা বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একটা অসম্ভব ভালোলাগা, ভালোবাসা, কিছু অপরিসীম রোমান্টিক, ট্র্যাজিক, গাঢ় অনুভূতি দু’গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার সঞ্চার জাগানোর জন্য তরুণ প্রজন্মদের মধ্যে।
ছবিটির পরিচালনা করেন দীপিকা বিশ্বাস, অনন্যা সেন এবং সিদ্ধার্থ সাহা। কলকাতার মানব ঘোষ, শিলিগুড়ির সুব্রত পাল ক্যামেরাম্যান ও এডিটর হিসেবে কাজ করেন। ছবির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নিকিতা সরকার, ময়ূখ সরকার এবং শিলিগুড়ি থেকে গায়িকা দেবলীনা গাঙ্গুলী।
সেরার শিরোপা পাওয়ার পর পরিচালক দীপিকা বিশ্বাস জানান, এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে মূলতঃ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায়, প্রয়োজনীয়তা এবং তাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বাঙালি ও গোর্খা লোকসংস্কৃতির প্রতি নিবিড় ভালোবাসার সঞ্চার জাগানোর জন্য। অন্যদিকে, ফেস্টিভ্যালের ডাইরেক্টর আদিত্য আর. এ. টেলিফোন মারফত সংস্থাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় ছবি তৈরীর জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং প্রত্যেকের নিরলস পরিশ্রমকে অনেক সাধুবাদ জানান।